December 22, 2024, 9:19 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায়করোনায়মৃত্যু ঘটেছে ৭ জনের। নতুনকরোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৪ জন। পরীক্ষাবিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এটি ৫৪৯টি নমুনারপরীক্ষারফলাফল।
এরআগের ২৪ ঘন্টায়মৃত্যু হয়েছিল৪ জনের। ৩৬৮টি নমুনাপরীক্ষা থেকে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১২ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
তার ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৫৬ জন। শনাক্ত হার ৩৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। নমুনাপরীক্ষাহয় ৩৯৯টি।
আজ রবিবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান মারা যাওয়া সবাই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি জানান মৃতদের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর ও মিরপুর উপজেলায়।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘আজ ভোর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ৯১ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ছিলেন ১০২ জন। তার আগের ২৪ ঘন্টায় ছিলেন ৭৯ জন ।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে জেলায় হোম আইসোলেশনে আছেন ১১৯৫ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ছিল ৯৬৪। তার আগের ২৪ ঘন্টায় ছিলেন ৮৯৭ জন।
এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় ছয়হাজার ৩৩৯। মারা গেছেন ১৪৭ জন।
এদিকে জেলার খোকসা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক কলেজ শিক্ষক মারা গেছেন।
এদিকে, কুষ্টিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কুষ্টিয়া ২৫০-শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজহাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম মুস্তানজিদ, বর্তমান অধ্যক্ষ দিলদার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য অজয় সুরেকা ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
লকডাউন
এদিকে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে কুষ্টিয়াতে মিরপুর উপজেলার মিরপুর পৌর এলাকায়ও লকডাউন চলছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতকরেছেন।
জেলায় সার্বিক করোনা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে হাসপাতালের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান ডা. তাপস কুমার সরকার।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আমরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে শুধুমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
Leave a Reply